রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে (২৫) হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
এদিকে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম জানিয়েছেন, যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা সবাই বহিরাগত। গ্রেপ্তাররা হলেন তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮) এবং পলাশ সরদার (৩০)।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য। এরপর রাত আড়াইটার দিকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন।
এ সময় ‘দফা এক দাবি এক, ভিসির পদত্যাগ’, ‘আমার ভাইয়ের লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে’, ‘নয় মাসে দুই খুন, ভিসি-প্রক্টরের অনেক গুণ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য এই অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘অতি দ্রুত আমরা এই ভিসি ও প্রক্টরকে সরানোর অনুরোধ করছি সরকারের কাছে। না হলে আমরা এই ইন্টেরিম সরকারকেই সরাতে বাধ্য হব।’
উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করার কথা রয়েছে ছাত্রদলের।
প্রসঙ্গত, নিহত ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা এলাকায়।
খুলনা গেজেট/এনএম